শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প এখন বিলুপ্ত প্রায়

পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প এখন বিলুপ্ত প্রায়

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও মহিষামুড়ী গ্রামের প্রসিদ্ধ তাঁত শিল্প এখন বিলুপ্ত প্রায়। অথচ এক সময় এর ঐতিহ্য হিসেবে ছিল এ দুটি গ্রামের খ্যাতি গোটা অবিভক্ত বাংলাজুড়ে। নিভৃত পল্লীর নিস্তবতা ভেদ করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁতের খটখট শব্দে নিপুন শিল্পীর হাতে  চলতো বুননের কাজ। বিভিন্ন স্থানে এখান থেকে সরবরাহ হতো নানা জাতের কাপড়। এখানকার তৈরি শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি, চাদর, গামছা এসব পণ্যের যথেষ্ট কদর থাকায় সে সব সরবরাহ হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু তা এখন সোনালী অতীত। বর্তমানে এখানকার তাঁতীরা আর ভালো নেই। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও পুঁজির অভাব রং, সুতা ইত্যাদি উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা আর সংকটের কারণে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি এখন হুমকির মুখে। নানমুখী সমস্যা সংকটের মুখে অনেকগুলো তাঁত ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক পরিবার দিন কাটাচ্ছে মানবেতর। অনেকে জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছে দিন মজুরীর কাজ। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও মহিষামুড়ি গ্রাম। এ দুটি গ্রাম তাঁত শিল্পের জন্য সু-পরিচিত এবং বিখ্যাত। ৩শতাধিক তাঁতী পরিবারের বসবাস এ দুটি গ্রামে। পুঁজির অভাবে এ দুটি তাঁত পল্লীর তাঁত শিল্প বন্ধ হতে চলেছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন ভাবেই এখানকার তাঁতীরা পায়নি কোন অনুদান কিংবা ঋণ সহায়তা। পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রং, সুতা ইত্যাদি উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ পেশায় টিকে থাকা অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তাঁতী পরিবারগুলো এখন দিন কাটাচ্ছে মানবেতর। গত কয়েক মাসে এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে  বলে তাঁতী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জীবিকার তাগিদে এসব তাঁতি পরিবারের অনেকেই বেছে নিয়েছেন দিনমজুরসহ অন্যান্য পেশা। অনেকেই তাদের পূর্ব পুরুষের পেশাকে আঁকড়ে ধরে নিরস্তর সংগ্রাম করে চলেছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, সহজ শর্তে ঋণ দান ও উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করা গেলে কাকিনা ও মহিষামুড়ি তাঁত পল্লীর অতীত ঐতিহ্য আবারও ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং দরিদ্র তাঁতি পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করে তোলা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone